চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের নিমতলা এলাকায় নবারুন সংঘ নামে একটি ক্রীড়া সংগঠনের তালাবন্ধ কক্ষে পড়ে ছিল, আব্দুর রাকিব(৪৫) নামে একজনের মরদেহ।
রাকিব ওই এলাকার মৃত নইমুদ্দীনের ছেলে। রাকিব পেশায় অটোচালক ও খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ থাকায় এলাকার ক্রীড়া সংগঠনে স্বেচ্ছাশ্রম দিতেন, ক্লাবের চাবি তার কাছেই থাকত বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
রাকিবের বাড়িতে গিয়ে কথা হয় তার স্ত্রী সাথী খাতুনের সাথে। তিনি জানান গতকাল রবিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন।
রাকিবের বড় মেয়ে নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রিতা খাতুন জানান, দুপুরে তিনি বাবাকে ফোন দিয়েছেন কিন্ত রিসিভ হয়নি,এরপর বিকাল,সন্ধ্যা,রাতে ও ভোর রাতে একাধিকবার ফোনে চেষ্টা করেছেন বাবার সাথে যোগাযোগের।
রাকিবের স্ত্রী সাথী খাতুন জানান, সৌদি আরব যাওয়ার জন্য কালাম নামে এক আদম ব্যবসায়ীকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দিয়েছিল রাকিব। গত তিন-চার মাস আগে সে যে ভিসা দিয়েছিলো সেটা দুইনাম্বার ছিলো, এ নিয়ে কালামের সাথে হাতাহাতি হয়েছিলো। এরপর সে আজ কাল করে বিদেশ পাঠানোর ব্যাপারে সময় নিচ্ছিল।
তিনি বলেন, এর বাইরে কোন ঘটনা জানা নেই, কেন মারল কে মারল, কাকে দোষ দিব বুঝতে পারছি না।
এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাফফর হোসেন জানান, নবারুন সংঘের কক্ষের ভেতরে পড়ে ছিলো মরদেহটি। পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিটের সদস্যরা আসলে আমরা মরদেহটির সুরতহাল করে ময়নাতদন্তে পাঠাব। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে।